শ্রেণিবিন্যাসের প্রয়োজনীয়তা

অষ্টম শ্রেণি (মাধ্যমিক) - বিজ্ঞান - প্রাণিজগতের শ্রেণিবিন্যাস | | NCTB BOOK

লক্ষ লক্ষ প্রাণীকে পৃথক ভাবে শনাক্ত করা অসম্ভব ব্যাপার। কেবলমাত্র শ্রেণিবিন্যাসকরণ পদ্ধতি অবলম্বন করে এ কাজটি করা সম্ভবপর হয়। একটি প্রাণীকে শনাক্ত করতে হলে প্রধানত সাতটি ধাপে এর বৈশিষ্ট্যগুলো মিলিয়ে নিতে হয়। এ ধাপগুলো হলো জগৎ (kingdom), পর্ব (Phylum), শ্রেণি (Class), বৰ্গ (Order), গোত্র (Family), গণ (Genus) ও প্রজাতি (Species)। অনেক সময় পৰ্বকে উপপর্ব বা Sub Phylum -এ ভাগ করা হয়। 

শ্রেণিবিন্যাসের সাহায্যে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে সহজে, অল্প পরিশ্রমে ও অল্প সময়ে পৃথিবীর সকল উদ্ভিদ এবং প্রাণী সম্বন্ধে জানা যায়। নতুন প্রজাতি শনাক্ত করতে শ্রেণিবিন্যাস অপরিহার্য। প্রাণিকূলের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের বিভিন্ন তথ্য ও উপাত্ত পাওয়া যায়। ধীরে ধীরে প্রাণিকূলের মাঝে যে পরিবর্তন ঘটেছে বা ঘটছে সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। অসংখ্য প্রাণিকূলকে একটি নির্দিষ্ট রীতিতে বিন্যস্ত করে গোষ্ঠীভূক্ত করা যায়। প্রাণীর মধ্যে মিল-অমিলের ভিত্তিতে পরস্পরের মধ্যে সম্বদ্ধ অর্জন করা যায়। প্রাণী সম্পর্কে সামগ্রিক ও পরিকল্পিত জ্ঞান অর্জন করা যায়। যেমন- সব এককোষী প্রাণীকে একটি পর্বে এবং বহুকোষী প্রাণীদের নয়টি পর্বে ভাগ করা হয়।

নতুন শব্দ : শ্রেণিবিন্যাসবিদ্যা, দবিপদ নামকরণ, প্রজাতি, অ্যানিম্যালিয়া, সিলোম, সিলেন্ট্রন, হিমোসিল, সিটা, নটোকর্ড, লার্ভা, সাইক্লোয়েড, গ্যানয়েড

 

এ অধ্যায় পাঠ শেষে যা শিকলাম

— প্রাচীর দিয়ে ঘেরা দেহগ্বহরকে সিলেন্টেরন বলে। এটা এক ধারে পরিপাক ও সংবহএর কাগ করে।

— ভ্রূণের যে সকল কোষীয় স্তর থেকে পরবর্তীতে টিস্যু বা অঙ্গ সৃষ্টি হয় তাদের ভ্রূণস্তর বলে।

— বহুকোষী প্রাণীর পৌষ্টিকনালি এবং দেহুপ্রাচীরিরের মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থাঙ্কে সিলোম বলে।

— হিমোসিলের ভিতর দিয়ে রল্কত প্রবাহিত হয়।

— প্রাণিজগতে আর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।

— মলাস্কা পর্বের প্রাণীদের নরম দেহ ম্যান্টল দ্বারা আবৃত থাকে। মাংসল পা দিয়ে চলা ফিরা করে।

— যে সমস্ত প্রাণীকে এদের দেহের কেন্দ্রীয় অক্ষ বরাবর একাধিকবার সমান দুই অংসে ভাগ করা যায় তাকে অরীয় প্রতিসম প্রাণি বলে। যেমন - তারামাছ।

— কর্ডাটা প্রাণিজগতের একটি পর্ব। এই পর্বের প্রাণীদের নটোকর্ড, স্নায়ুরজ্জু ও গলবিলীয় হুলকাছিদ্র আছে এবং এরা কর্ডেট নামে পরিচিত।

— ভার্টিব্রাটা উন্নত প্রাণী। এদের নটীকর্ড শক্ত কশেরুকাযুক্ত মেরুদন্ডে পরিবর্তিত হয়।

— স্নায়ুরজ্জুর সম্মুখ প্রান্ত স্ফীত হয়ে মস্তিস্কে পরিণত হয়। মস্তিস্ক করোটির মধ্যে সুরক্ষিত থাকে।

—জলজ ভার্টিব্রাটা ফুলকার সাহায্যে আর যারা স্থলে বাস করে চারা ফুসফুসের সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়।

— ক্ষতিকর পোকাদের পেস্ট বলে।

Content added By
Promotion